ঢাকা, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--বিচার বিভাগে দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভুঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "টিআইবির প্রতিবেদনে যেহেতু বিচার বিভাগে কোনো দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগে দুর্নীতি অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
এদিকে বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির খানা জরিপের মূল্যায়নে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার ফুলকোর্ট সভায় অবহিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
বদরুল আলম ভুঞা আরও বলেন, বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির প্রতিবেদন মূল্যায়ন কমিটি গত ১৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগে দুর্নীতি বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। টিআইবির প্রতিবেদনটি প্রচারমূলক। ইহা পর্বতের মূসিক প্রসব।
গত ২৩ ডিসেম্বর টিআইবি প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়, সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগেই দুর্নীতি বেশি হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেন বেশি হয় উচ্চ আদালতে।
ওই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে টিআইবিপ্রধান এম হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও গবেষক ওয়াহিদ আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় তাদের জানুয়ারি মাসের দুটি আলাদা তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ওই জরিপের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত চেয়ে টিআইবিকে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে তথ্য দেওয়ার পর তা অসম্পূর্ণ মনে করে বিস্তারিত তথ্য পাঠানোর জন্য ৩ জানুয়ারি টিআইবিকে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয়। এরপর টিআইবি জরিপ সংক্রান্ত সিডি পাঠালে তার ফাইল খোলা না যাওয়ায় গত ৬ জানুয়ারি তৃতীয় বারের মতো চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।
টিআইবি'র দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় গত ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সেদিনই টিআইবির দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শুরু করে।
এরপর সরাসরি কথা বলতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে টিআইবির তিন কর্মকর্তাকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়। টিআইবি পাল্টা চিঠিতে চা-চক্রে অংশ নিতে সম্মতি দেয়। ওই জরিপ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় গঠিত সুপ্রিম কোর্টের করা কমিটির সঙ্গে গত ১৩ জানুয়ারি টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান আলোচনায় অংশ নেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসএন/এইচএ/১৯৪৩ ঘ.
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভুঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "টিআইবির প্রতিবেদনে যেহেতু বিচার বিভাগে কোনো দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগে দুর্নীতি অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
এদিকে বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির খানা জরিপের মূল্যায়নে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার ফুলকোর্ট সভায় অবহিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
বদরুল আলম ভুঞা আরও বলেন, বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির প্রতিবেদন মূল্যায়ন কমিটি গত ১৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগে দুর্নীতি বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। টিআইবির প্রতিবেদনটি প্রচারমূলক। ইহা পর্বতের মূসিক প্রসব।
গত ২৩ ডিসেম্বর টিআইবি প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়, সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগেই দুর্নীতি বেশি হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেন বেশি হয় উচ্চ আদালতে।
ওই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে টিআইবিপ্রধান এম হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও গবেষক ওয়াহিদ আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় তাদের জানুয়ারি মাসের দুটি আলাদা তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ওই জরিপের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত চেয়ে টিআইবিকে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে তথ্য দেওয়ার পর তা অসম্পূর্ণ মনে করে বিস্তারিত তথ্য পাঠানোর জন্য ৩ জানুয়ারি টিআইবিকে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয়। এরপর টিআইবি জরিপ সংক্রান্ত সিডি পাঠালে তার ফাইল খোলা না যাওয়ায় গত ৬ জানুয়ারি তৃতীয় বারের মতো চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।
টিআইবি'র দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় গত ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সেদিনই টিআইবির দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শুরু করে।
এরপর সরাসরি কথা বলতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে টিআইবির তিন কর্মকর্তাকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়। টিআইবি পাল্টা চিঠিতে চা-চক্রে অংশ নিতে সম্মতি দেয়। ওই জরিপ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় গঠিত সুপ্রিম কোর্টের করা কমিটির সঙ্গে গত ১৩ জানুয়ারি টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান আলোচনায় অংশ নেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসএন/এইচএ/১৯৪৩ ঘ.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন