Promote Your website...

সন্ধান করুন

আমাদের সাথে যুক্ত হন

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

যে ছবি কখন ভোলা যাবে না...






'বিচার বিভাগে দুর্নীতি' তদন্তে কমিটি করবেন প্রধান বিচারপতি

ঢাকা, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)--বিচার বিভাগে দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভুঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, "টিআইবির প্রতিবেদনে যেহেতু বিচার বিভাগে কোনো দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগে দুর্নীতি অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"

এদিকে বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির খানা জরিপের মূল্যায়নে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার ফুলকোর্ট সভায় অবহিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

বদরুল আলম ভুঞা আরও বলেন, বিচার বিভাগ সম্পর্কে টিআইবির প্রতিবেদন মূল্যায়ন কমিটি গত ১৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগে দুর্নীতি বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে আশা পূরণ হয়নি। টিআইবির প্রতিবেদনটি প্রচারমূলক। ইহা পর্বতের মূসিক প্রসব।

গত ২৩ ডিসেম্বর টিআইবি প্রকাশিত এক জরিপে বলা হয়, সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগেই দুর্নীতি বেশি হয়। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেন বেশি হয় উচ্চ আদালতে।

ওই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে টিআইবিপ্রধান এম হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও গবেষক ওয়াহিদ আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় তাদের জানুয়ারি মাসের দুটি আলাদা তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর ওই জরিপের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত চেয়ে টিআইবিকে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে তথ্য দেওয়ার পর তা অসম্পূর্ণ মনে করে বিস্তারিত তথ্য পাঠানোর জন্য ৩ জানুয়ারি টিআইবিকে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয়। এরপর টিআইবি জরিপ সংক্রান্ত সিডি পাঠালে তার ফাইল খোলা না যাওয়ায় গত ৬ জানুয়ারি তৃতীয় বারের মতো চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।

টিআইবি'র দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় গত ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সেদিনই টিআইবির দেওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শুরু করে।

এরপর সরাসরি কথা বলতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে টিআইবির তিন কর্মকর্তাকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়। টিআইবি পাল্টা চিঠিতে চা-চক্রে অংশ নিতে সম্মতি দেয়। ওই জরিপ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় গঠিত সুপ্রিম কোর্টের করা কমিটির সঙ্গে গত ১৩ জানুয়ারি টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান আলোচনায় অংশ নেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসএন/এইচএ/১৯৪৩ ঘ.

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১১

মাশরাফিকে ছাড়াই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

ঢাকা, জানুয়ারি ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - নড়াইল এক্সপ্রেস হিসেবে খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বাইরে রেখেই ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের ১৫ জনের বিশ্বকাপ দল।

মিরপুরে গ্রামীণফোন-বিসিবি একাডেমি ভবনে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক রকিবুল আলম।

চোট থেকে মাশরাফি এখনো সেরে ওঠেননি। এ মুহূর্তে পুরোপুরি সুস্থও নন তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে তিনি খেলার মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে নির্বাচকদের।

এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, "বিশ্বকাপে খেলার আগে মাশরাফির পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আমরা তাকে বাইরে রেখে দল ঘোষণা করেছি।" ইস্পাহানী ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে আবাহনীর হয়ে খেলার সময় চোট পান তিনি।

এর আগে ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে মাশরাফি মোট ১১টি ম্যাচ খেলেন। রান করেন ১৩৭, গড় ১৭.১২। ৩৬.২৭ গড়ে উইকেট নেন ১১টি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপাতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ, নির্বাচক জাহিদ রাজ্জাক মাসুম ও বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম।

দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ আশরাফুল, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিক, রকিবুল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, নাজমুল হোসেন, নাঈম ইসলাম, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও শাহরিয়ার নাফীস।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএম/পিডি/টিআর/১৬২৯ ঘ.

রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১১

নোবেল বিজয়, ব্যাংক এবং ক্ষুদ্র ঋণ

 জানুয়ারি ১৩, ২০১১
ছবি. নাসিরুল ইসলামছবি. নাসিরুল ইসলাম
গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসকে নিয়ে এখন দেশে তোলপাড় চলছে। সরকার ও সরকারী দল ড. ইউনূসের উপর ক্ষেপে গেছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইউনূসকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন যা অশোভন পর্যায়ে পড়ে বলে আমার মনে হয়। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ও ছাত্রলীগের নেতারাও ইউনূসের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলে ফেলেছেন। দেশের সুধীজন বলেছেন, অভিযোগের তদন্তের আগে এসব কথা বলা উচিত হয়নি। ইউনূস নিজেই সরকারী তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সুযোগ পেয়ে মিডিয়া ও নানা জন নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। যাক শেষ পর্যন্ত সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ড. ইউনূস এখন একজন বিশ্বনাগরিক। দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের ভেতর বিনা বন্ধকে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করে বিশ্বব্যাপী নাম করেছেন। এজন্যে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। সে সময়ে দেশের মানুষ আনন্দে আত্মহারা ছিলেন। তখন সরকার বেসরকার সবাই দল বেঁধে ইউনূস সাহেবকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আমাদের দেশে জ্ঞানী-অজ্ঞানী সব মানুষই হুজুগে নাচতে থাকেন। বিখ্যাত এক প্রবাদ আছে, চিলে কান নিয়েছে তাই সবাই চিলের পিছনে দৌড়াতে থাকে। কানওয়ালা কখনও নিজের কানে হাত দিয়ে দেখে না। এখন নরওয়ের টিভিতে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট প্রচারিত হওয়ার পর আমরা আবার খোঁজ খবর না নিয়েই নাচতে শুরু করেছি। হঠাত্‍ করে নরওয়ে টিভি এ কাজটা করলো কেন তা আমরা ভাবিনি। নরওয়ে সরকারের সাথে হঠাত্‍ করে ইউনূস সাহেবের বিরোধ বাঁধলো কেন।
শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নয়, গ্রামীণ ফোন নিয়েও ফিল্ম তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে। ওইসব বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে ইউনূস সাহেব নোবেল প্রাইজ নেয়ার সময় যে বক্তৃতা দিয়েছেন তাতে নাকি তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি নাকি বলেছেন গ্রামীণ ফোন গ্রামের সাড়ে তিন লাখ দরিদ্র মহিলাকে মোবাইল ফোনের সিম দিয়েছেন। নরওয়ের রিপোর্টার বাংলাদেশে এসে গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখেছেন কোথাও কোন গ্রামের দরিদ্র মহিলাকে সিম দেয়া হয়নি। ওই রিপোর্টার আরও বলেছেন, গ্রামীণ ক্ষুদ্র ঋণের কারণে ঋণ গ্রহীতাদের দারিদ্র দূর হয়নি। তারা গ্রামের বহু মহিলার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। ডকুমেন্টারি ওই ফিল্মের রিপোর্ট বিশ্বব্যাপী অন্যান্য মিডিয়াতেও প্রচারিত হয়েছে। তার ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ মিডিয়া গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস বিষয়ে মাঝে মধ্যে টুকটাক কিছু বললেও সিরিয়াসলি কখনই কিছু বলেনি। ড. ইউনূস নিজেও বাংলাদেশের মিডিয়াকে কখনই নিজের আস্থায় নিতে চাননি। ফলে দেশী মিডিয়া গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সব সময়ই আলো আঁধারীতে ছিল এবং আছে। বেশির ভাগ মানুষই জানে না এই ব্যাংকটি সরকারি না বেসরকারি। এটি কি এনজিও? এটি সমবায় সংস্থা? এটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন সংস্থা?
সবাই জানে ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক থাকা কালে ড. ইউনূস জোবরা গ্রামে তার ক্ষুদ্র ঋণ আইডিয়াটি চালু করেন জনতা ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে। কিন্তু যে পরিবার ঋণ নিয়েছিল তাতে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। পরে তিনি তার এই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে দেখা করেন। জিয়া সাহেব ড. ইউনূসকে উত্‍সাহিত করার জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ড. ইউনূসের আইডিয়াকে একটি প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করে তাকেই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমি যত দূর জানি, এটাই ছিল গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের যাত্রা শুরু। তখন ড. ইউনূস কিছুদিন বাংলাদেশ ব্যাংকেও অফিস করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফরমেশনগুলো পাওয়া যায় না। শুধু বলা হয়েছে ১৯৭৬ সালে ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পটি চালু করেন। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাশ করে। এটা মূলত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সাইফুর রহমান সাহেবের আমলে ৩০০ কোটি টাকা ঋণও দেয়া হয়েছিল। এক সময় এই ব্যাংকের সরকারি মালিকানা ছিল ৬০ শতাংশ। পরে আস্তে আস্তে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশে নেমে আসে। এই ব্যাপারে সরকারের গাফেলতিও কম নয়।
নোবেল পুরস্কার লাভের পর আমি লিখেছিলাম এই প্রাইজ পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশ সরকার ও ড. ইউনূসের। কিন্তু পেল গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস। কারণ সরকারই এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। ওই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. সালেহ উদ্দিনও বলেছিলেন এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সরকার। ড. ইউনূস শুরু থেকেই এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে গোপন করার চেষ্টা করেছেন। আমি একটি চিঠি লিখে বিষয়টি সম্পর্কে নোবেল পিস কমিটিকে জানিয়েছিলাম। আমার চিঠির একটি অংশ তখন নিউ এজ বা ডেইলি স্টার পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। সেই সময়ে বিদেশী কোন কোন কাগজে বলা হয়েছিল ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে একটি মুসলিমপ্রধান দেশে সুদকে জনপ্রিয় করেছেন। কথাটি মহাসত্য। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে গরীব মানুষ জানতে ও বুঝতে পেরেছে সুদ এবং গ্রামীণ ব্যাংক কী জিনিস। গ্রামের লাখ লাখ মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের ফাঁদে পড়ে সর্বহারা ও গ্রামছাড়া হয়েছে। ঠিক এ সময়ে শেরে বাংলার ঋণ সালিসী বোর্ডের কথা মনে পড়েছে। তখন সুদী মহাজনের জালে আটকা পড়ে লাখ লাখ গরীব মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিল। তখন বেশির ভাগ সুদী মহাজন ছিল হিন্দু ধনী। তারপর এদেশে আসে কাবুলিরা। শেরে বাংলা ঋণ সালিসী বোর্ড করে গরীব মানুষদের রক্ষা করেছিলেন। এনজিওদের কাছ থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের বাঁচাবার জন্যে সরকার এখনও ঋণ সালিসী বোর্ড গঠন করেন নি। ও রকম কিছু করার কোন আলামত দেখছি না। বিগত ৩০ বছরে ক্ষুদ্রঋণের ফলে আমাদের গরীব গ্রামের মানুষের কী উপকার হয়েছে তা দেশবাসী এখনও জানে না। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান সাহেব একবার বলেছিলেন ৩০ বছরে গ্রামীণ ব্যাংক ৬০ লাখ গরীব মানুষের মাঝে ঋণ বিতরণ করেছে। দারিদ্র বিমোচনের কাজটি এই হারে চললে তিনশ’ বছরেও বাংলাদেশের গ্রামীণ দারিদ্র যাবে না। সরকারও ইউনূস সাহেবের নীতি অনুসরণ করতে পারবে না।
সুদী ব্যবসা দ্বারা গরীবের দারিদ্র যায় না। রাষ্ট্রীয় নীতি ছাড়া পৃথিবীর কোথাও দারিদ্র দূর হয়নি। শুধু রাষ্ট্রকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কতদিনে সে তার জনগণকে দারিদ্র থেকে মুক্তি দিতে চায়। সুদ যে গরীবকে আরও গরীব করে দিতে পারে তা আল কোরান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। তাই আল কোরান সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে। আল্লাহর রাসুল বিদায় হজ্বের ভাষণে মহাজনদের সকল সুদ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণার মাধ্যমে তত্‍কালীন মক্কা এবং আশেপাশের মানুষ মুক্তিলাভ করেছিলো।
আমরা সত্যিই বড়ই হতভাগ্য। আল কোরান ও রাসুলের (সাঃ) ঘোষণার প্রায় দেড় হাজার বছর পরেও আমরা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সুদী ব্যবসায় জড়িয়ে আছি। শুধু তাই নয়, এই হারামকে রাষ্ট্র প্রশংসিত করেছে। ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি ব্যবসা করেন। গ্রামীণ ব্যাংক কোন দাতব্য ব্যবসা নয়। গ্রামীণ ব্যাংক বিনা সিকিউরিটিতে গরীবদের ঋণ দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কতজন গরীব গরীবানা ত্যাগ করতে পেরেছেন তা কোনদিন সরকার বা সমাজ জানতে চায়নি। গ্রামীণ ব্যাংক ৩০/৩৬ পার্সেন্ট সুদ গ্রহণ করে এটা জানার পরও সরকার কখনও কিছু বলেনি। কারণ আজও অজানা। সুদের ব্যবসা করে ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর আমরা নেচেছি গেয়েছি। এখন দল বেঁধে তাকে গালিগালাজ করছি। আবার কেউ কেউ বলছেন, ইউনূসের নামের সাথে বাংলাদেশের মর্যাদা জড়িত। মানে তাকে আর গালাগাল করা ঠিক হবে না।
নোবেল পুরস্কার নিয়ে ইতোমধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে গণচীন। চীনের ভিন্ন মতাবলম্বী গণতন্ত্রী বলে পরিচিত জিউ বাওকে নোবেল পুরস্কার দেয়ায় চীন ক্ষুব্ধ হয়েছে। চীন সরকার তাদের মনোভাব নোবেল কমিটিকে জানিয়েছে। চীনকে সমর্থন করে বিশ্বের অনেক দেশ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। ফলে নোবেল পুরস্কার বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার একটি রাজনৈতিক পুরস্কারে পরিণত হয়ে পড়েছে। সরকার বা রাষ্ট্রের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে এর আগেও ইরানের শিরিন এবাদি এবং মায়ানমারের অং সাং সুচিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। যুদ্ধরত ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের নেতা আরাফাত ও শ্যারনকে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পর্কে লোকে নানা ধরনের তামাশা করে। বলে, আপনি আপনার মায়ের বিরুদ্ধে বদনাম করুন আপনাকে পশ্চিমারা নোবেল দিয়ে দিতে পারে। সবচেয়ে মূল্যবান ইস্যু হলো এখন ইসলাম। আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে বলুন আপনাকে নোবেল দিয়ে দিবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আহমদ শাফি নোবেল নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন যা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রকাশ করেছে। আমি ড. শাফির সাথে একমত। শান্তি পুরস্কার প্রদানের শক্তিশালী মাপকাঠি হলো এখন রাজনীতি। ড. শাফি বলেছেন বিশ্বের সব পুরস্কারের ক্ষেত্রেই নানা ধরনের রাজনীতি হয়ে থাকে। এশিয়ার নোবেল বলে বহুল প্রচারিত ম্যগ সাই সাই এওয়ার্ডও তেমনি একটি পুরস্কার। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মানুষ এ পুরস্কার পেয়েছেন। এদের মাত্র কয়েকজনকে পাঠক হয়ত চেনেন। বাকিরা অপরিচিত। কিন্তু পুরস্কারদাতারা তাদের চেনেন। সম্প্রতি আমাদের দেশের একজন নামজাদা এনজিও ব্যবসায়ী স্যার উপাধি পেয়েছেন বৃটেনের রানীর কাছ থেকে। তাঁর পূর্বপুরুষও নাকি ইংরেজদের কাছ থেকে খান বাহাদুর টাইটেল পেয়েছিলেন। আর শুনে একেবারেই আমরা গদগদ। এই ইংরেজরাই ১৯০ বছরে এদেশে কোটি কোটি লোককে হত্যা করেছে। এই দেশটাকে পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। চীনারা একটি সম্মানিত জাতি বলেই পশ্চিমাদের ফাঁদে পা ফেলে না। জাপানিরা এখনও চীনের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুল পাচ্ছে না পূর্বপুরুষের অপরাধের জন্যে।
আমাদের দেশে নানা ধরনের সরকারী পুরস্কার আছে। সব পুরস্কারই এখন রাজনৈতিক পুরস্কারে পরিণত হয়েছে। সরকারের যাকে পছন্দ তাকেই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেয়া হয়। কেন দেয়া হয় তার কোন কারণ নেই। কবি শিল্পী বুদ্ধিজীবীদেরও রাজনৈতিক ভাগ আছে। একদল হলো আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, আরেক দল বিএনপি বুদ্ধিজীবী। এ নিয়ে নাকি প্রচুর তদবির করতে হয়। শুনেছি, গল্প কিনা জানি না, আমাদের এক বন্ধু মন্ত্রীকে বলেছিলেন তাকে একুশে পুরস্কার না দিলে সে সচিবালয়ের ন’তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। সেবার সে একুশে পদক পেয়েছিলো। সরকারকে ধন্যবাদ তাকে পুরস্কার দেয়ার জন্যে। তাই সে এখনও বেঁচে আছে।
এরশাদ মজুমদার : প্রবীণ সাংবাদিক, কলামলেখক ও ঔপন্যাসিক।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১১

Earn upto Rs. 9,000 pm with PaisaLive.com!

Hi ,
I have something interesting for you - you can easily earn regular income online via PaisaLive.com!
It’s really amazing! You get paid to open & read the contents of PaisaLive mails. You also receive special discount coupons, promotions and free passes to various events in your city.
Join now and get Rs. 99 instantly, just for joining. What more, as a special bonus you get paid for inviting your friends also!
Create your PaisaLive Account & refer your friends to earn launch referral bonus on every new registration.
http://www.PaisaLive.com/register.asp?919330-8252360
PaisaLive - Get Paid to read emails

আবার নতুন ফেলানি... এইবার আবার রাশু, তারপর?

শনিবার ভোরে কাঁটাতারের বেড়ার এপার থেকে ওপারে ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র বর্গাচাষী শাহজাহান রাশু(২৬)। তারপরই ঘরে ফিরে নাস্তা সেরে তার মাঠে যাওয়ার কথা ছিল ফসলের পরিচর্যায়।

কিন্তু কে জানতো এ ঘটনাই তার জীবনে কাল হয়ে দেখা দেবে। সে আর হেঁটে মাঠে তো দূরের কথা, বাড়িতে পর্যন্ত ফিরতে পারবে না! 

দুই বন্ধুর এই কথোপকথনের সময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ২ পা ও ১ হাত থেঁতলে ভেঙ্গে দেয়। দুই ঘণ্টা পর তাকে ফেলে রেখে যায় বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে।

স্থানীয়রা বিজিবি’র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) জওয়ানদের সহায়তায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মাসুদপুর সীমান্তে শনিবার ভোরে এ ঘটনাটি ঘটে।

সরেজমিনে মাসুদপুর সীমান্ত এলাকায় গেলে আহত রাশুর স্বজন ও গ্রামবাসী বাংলানিউজকে জানান, শনিবার ভোর ৫টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর গ্রামের মৃত ইউনুস বাবুর্চির ছেলে শাহজাহান রাশু পাশের গ্রাম মাসুদপুর সীমান্তের মেইন পিলার ৪-এর সাব পিলার ৫ এলাকায় গিয়ে কাঁটাতারের এপার থেকে অপর পারে ভারতীয় এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলেন।

এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার শুভপুর ক্যাম্পের ২০/২৫ জন বিএসএফ জওয়ান তাকে ধরে ওপারে নিয়ে যায়। এরপর ক্যাম্পে নিয়ে তার ওপরে চালানো হয় ভয়াবহ নির্যাতন। এতে তার ২ পা ও বাম হাত ভেঙ্গে যায়। ২ ঘণ্টা এভাবে নির্যাতনের পর তাকে যেখান থেকে নিয়েছিল সেখানে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। স্থানীয়রা বিজিবি’র সহায়তায় তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।

২ ছেলেমেয়ের জনক শাহজাহান তার একমাত্র সন্তান। বিধবা মায়ের সংসারে সেই ছিল উপার্জনম ব্যক্তি। পেশায় সে বর্গাচাষী। অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে সংসার চালাতো।

রাশুর বিধবা মা রওশানা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ভোরে শাহজাহান তাকে জানিয়েছিল, পাশের গ্রামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সে বাড়ি ফিরবে। এরপর নাস্তা সেরে তার তে তদারকিতে যাওয়ার কথা ছিল।

কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ওপারের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার অপরাধে বিএসএফ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে হাতপা ভেঙ্গে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দিল।’

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় মনাকষা বাজারে এলাকায় শাহজাহানের মাসহ অন্যান্য স্বজনরা এ বাংলানিউজ প্রতিনিধিকে জানান, চরম দারিদ্রকার মধ্যে দিন পার করছে রাশুদের পরিবার। যেভাবে নির্যাতন চালিয়ে রাশুর হাত-পা ভেঙ্গে ফেলেছে বিএসএফ তা অমানবিক। যার চিকিৎসা খরচ চালানো দুঃস্থ পরিবারটির পে অসম্ভব।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩৯ বর্ডার গার্ড-বিজিবি’র অধিনায়ক আবু বকর আবু বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অমানবিক বিষয়টি নিয়ে বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহবান জানালেও বিএসএফ’র সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পরিপ্রেেিত মালদহ ১৫১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়েছে। তিনি আজ (রোববার) বিকেল ৩টায় মাসুদপুর সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবানে সাড়া দিয়েছেন।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, কেউ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োগের জন্য আইন রয়েছে। কিন্তু নির্যাতন কিংবা হত্যার কোনও বিধান নেই। কিন্তু বিএসএফ তাই চলেছে বাংলাদেশি নাগরিকদের েেত্র।

তিনি জানান, বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের মাধ্যমে গুরুতর আহত শাহজাহানকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা হবে বিজিবি থেকে।

এদিকে রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন রাশুর অবস্থা আশংকাজনক।

বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়

ঢাকা, জানুয়ারি ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মনে করেন, বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়। তাই সংসদীয় কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে সুপ্রিম কোর্ট বাধ্য নয়।

সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলন কক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের ফুলকোর্ট সভায় বিচারপতিরা এ মত প্রকাশ করেন।

দুই বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ওই সভা করেন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।

সভায় উপস্থিত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিম কোর্টের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে সংসদীয় কমিটির তলব করার ঘটনাকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করা হয় সভায়।

গত ২০ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, সংসদীয় কমিটি চাইলে যেকোনো সরকারি চাকরিজীবীকে কমিটির সামনে হাজির হতে হবেÑ এমন একটি আইনের খসড়া তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

কমিটির সভা শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "কমিটির আগামী বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে খসড়া আইন উপস্থাপন করবে।"

এর পরদিন (২১ ডিসেম্বর) কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগ কার কাছে জবাবদিহি করবে সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের ফুলকোট সভায়র্ চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠন প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট। এ বেঞ্চ গঠনে গতবছর আশা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় বলা হয়, "সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সার্কিট বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নেবে না। সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে সার্কিট বেঞ্চ গঠন প্রয়োজন তাহলে তারা নিজেরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।"

সংসদের কাছে সুপ্রিম কোর্টের জবাবদিহিতার বিষয়ে সভায় বলা হয়, "বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়। যুক্তরাজ্যের সংসদ সার্বভৌম হলেও বিচারপতিদের জবাবদিহিতার জন্য কখনো ডাকেনি।"

এছাড়া বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি'র প্রতিবেদন এবং এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি উপস্থিত বিচারপতিদের অবহিত করেন।

সভায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সম্পদের হিসাব দেওয়ারও আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি গত ৩০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে তার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতি তাদের সম্পদের হিসাব দিলে স্বচ্ছতা বাড়বে।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এসআই/এমএইচসি/পিডি/২২০৮ ঘ.

What we want? and What is these?

What we want? and What is these?

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

শ্বাগতম সকল বাংলাদেমী ভাই-বোন-বন্ধুদের......

আজ প্রথম আমাদের এই ওয়েবসাইট এর যাত্রা শুরু। সকল দেশপ্রেমী দের সহযগিতা প্রত্যাশা করছি।



বাংলাদেশী হিসেবে আমরা নিজেকে গর্বিত মনে করি।

Traffic Genie